কক্সবাজারের পেকুয়ায় মুঠোফোনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে শাশুড়িকে বেধড়ক পিটিয়েছে আপন মেয়ের জামাই।
এ সময় লোহার রড়ের এলোপাতাড়ি আঘাতে জ্ঞান হারান তিনি। পরে স্থানীয় ইউপির সদস্য ও গ্রাম পুলিশ গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত মহিলার নাম খতিজা বেগম (৫৫)।
তিনি উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মগঘোনা এলাকার শামসুল আলমের স্ত্রী। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী মাতবর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আড়াই বছর আগে মাতবর পাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে ইউনুসের সাথে মগনামা ইউপির মগঘোনা এলাকার শামসুল আলমের মেয়ে তাসফিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির ১বছর বয়সের শিশু সন্তান রয়েছে।
তাসফিয়ার ছোট বোন তানজিনা বলেন, দুপুরের দিকে বাড়িতে একটু সমস্যা হয়েছে বলে দুলাভাই ইউনুস মোবাইল করে মাকে তার বাড়িতে যেতে বলেন। আমি ও আমার মা পেকুয়া সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বোনের বাড়িতে যাই।
বাড়িতে পৌঁছার সাথে সাথে বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ইউনুস। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাড়ির একটি কক্ষে আটকে মাকে লাথি, ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে ইউনুস ও তার বোন মিলি আক্তার।
এ সময় থামানোর চেষ্টা করলে আমাকেও চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে বিকেলে মেম্বার ও এলাকাবাসি গিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ইউনুসের স্ত্রী তাসফিয়া আক্তার বলেন, যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করে আসছিল। গত ১৫দিনে আমাকে তিন দফা মারধর করে। সকালেও মারধর করে স্বামী ইউনুস। আমার মা ও স্কুল পড়ুয়া ছোট বোনকে বাড়িতে ডেকে এনে অমানবিক মারধর করে ইউনুস ও ননদ মিলি আক্তার।
এ সময় তাদের মারধরের আঘাতে মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিতে চাইলে বাধা দেয়।
স্থানীয় ইউপির সদস্য নুরুল আজিম বলেন, থানা থেকে পুলিশ অবগত করলে গ্রাম পুলিশকে নিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মেয়ের জামাই মারধর করেছে। ঘটনাটি দুঃখজনক।
পেকুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইজ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে
পাঠকের মতামত